সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী সংগঠনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানিকপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কবির আহমদের সভাপতিত্বে এবং ব্যবসায়ী কাওছার আহমদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ সমাবেশে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় এলাকাজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার,আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী হেলাল, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন সামন, কালিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন চৌধুরী, মানিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন চৌধুরী, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মুন্না, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব চেরাগ আলী, ইসলামী আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শিহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জয়নুল ইসলাম, কবিরুল হাসান মেম্বার, প্রবাসী মঈন উদ্দিন, সুমন আহমদ, আল ইসলাহ নেতা সুফিয়ান আহমদ, জমিয়ত নেতা কাজী ইমরান হোসাইন এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। তারা বলেন, মামলায় বাদী করা হয়েছে হত্যার আসামিকে, অথচ প্রধান সন্দেহভাজন হানিফ সুমনকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে না। বক্তারা দাবি করেন—এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যার পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, নোমান উদ্দিন ছিলেন একজন সৎ ও শান্তিপ্রিয় ব্যবসায়ী। তাঁর নির্মম হত্যার পরও প্রকৃত খুনিদের এখনো গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বক্তারা অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার, স্বচ্ছ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় বক্তাদের বক্তব্যে পুরো কালিগঞ্জ বাজারে একটাই স্লোগান ধ্বনিত হয়—“নোমান হত্যার বিচার চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই!”
এ নিয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, সন্দেহভাজন আসামি হানিফ আহমদ সুমনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পেতে ৬ অক্টোবর আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এখনো শুনানি হয়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সুমনকে রিমান্ডে পেলে আরও তথ্য মিলবে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, নোমান হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামিদেরকে সনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কারো প্রভাবে পুলিশ প্রভাবিত হবে না। ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে পুলিশ সেগুলো যাচাই বাছাই করছে।
বৈরাগীবাজার নিউজ ডেস্ক
আইটি ল্যাব সলিউশন্স লি.