আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিরোনাম
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: কঠিন গ্রুপে কোন দল, কারা পেল সহজ প্রতিপক্ষ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা চলছে: শফিকুর রহমান ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও ৬ আইফোন জব্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র জমিয়তের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশনেত্রীর দিকে চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন : অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিশেষ দোয়া সিলেটে হাজারও দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন এক রাসূলপ্রেমিকের কালজয়ী প্রেমগাথা: কাসিদায়ে বুরদা সহকারি শিক্ষকদের শাটডাউন: বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকরা সিলেট বিভাগের আরও ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

ওপেনিংয়ে ১৭৬, তবু ৩০০ করতে পারল না বাংলাদেশ

ওপেনিংয়ে ১৭৬, তবু ৩০০ করতে পারল না বাংলাদেশ

উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়’—প্রবাদটা অনেকের ক্ষেত্রে মানানসই হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। তার প্রমাণ আজকের ব্যাটিং। উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৬ রান করার পরেও যে ৩০০ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

 

বাংলাদেশের আজকের ইনিংসের শুরুটা দেখে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না এই মিরপুরেই প্রথম দুই ওয়ানডেতে রান তুলতে হাঁসফাঁস করেছেন ব্যাটাররা। কেননা পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাটিং করে আগের দুই ম্যাচে কোনোরকমে দুই শ রান পার করেছিল। আর আজ উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭৬ রান তোলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। 

মিরপুরে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির যা সর্বোচ্চ।

আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৫০। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়। প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড হয়েছে। আগের জুটিতেও সৌম্য ছিলেন।

২০১৯ সালের ডাবলিনের ১৪৪ রানের জুটিতে বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গী ছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

 

সবমিলিয়ে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯২ রানের জুটি গড়েন তামিম ও লিটন দাস। আজ সুযোগ ছিল দ্বিতীয়বারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে ২০০ রান করার। তবে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাইফ ৮০ রানে আউট হওয়ায় তা আর হয়নি।

ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটির ইনিংসটি সমান ৬ ছক্কা ও চারে সাজিয়েছেন তিনি।

 

সাইফের মতো আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সৌম্যও। কেননা তারও তিন অঙ্ক স্পর্শ করা হয়নি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংস খেলার পর আজ চতুর্থ শতক পাওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু আকিল হোসেনের বলে তিনিও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। এতে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রানের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

 

দুই ওপেনারের রানের চাকা পরে সচল রাখতে পারেননি বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররা। কেননা সৌম্য যখন ফেরেন তখন দলীয় স্কোর ২৮.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৮১ রান। কিন্তু ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর তিন শও হয়নি। ৮ উইকেটে ২৯৬ রানে থেমেছে। এই সংগ্রহটাও হতো না যদি নুরুল হাসান সোহান (১৬*) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭) দুটি পনেরোউর্ধ্বো ইনিংস না খেলতেন। মাঝে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

মাঝে ৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানোয় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সেই যা-ই হোক শুরুর মতো শেষটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ১৩১ বলে মাত্র ১১৫ রান নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন।

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)