সিলেটে উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হলো সিলেট রানার্স কমিউনিটির আয়োজন ফিজা হাফ ম্যারাথন। নগরীর ঐতিহ্যবাহী ক্বিন ব্রিজ এলাকা থেকে ভোরের আলো ফোটার আগেই একসঙ্গে দৌড় শুরু করেন প্রায় ১৫০০ দৌড়বিদ।
আয়োজকরা জানান, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত জীবনধারায় উদ্বুদ্ধ করা এবং সিলেটের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার দাবিতে এ আয়োজন করা হয়।
ভোরের দিকে ক্বিন ব্রিজ এলাকায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদদের ভিড় দেখা যায়। অংশগ্রহণকারীরা জানান, নিয়মিত দৌড় বা হাঁটা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে; এই ধরনের আয়োজন মানুষকে ক্রীড়ায় উৎসাহিত করে।
ম্যারাথনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। তারা মনে করেন— শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সব বয়সী নারীরই হাঁটা বা দৌড়ে অংশ নেওয়া উচিত।
চা বাগানের সবুজে ঘেরা বিমানবন্দর সড়কের আঁকাবাঁকা পথে দৌড়াতে পেরে দৌড়বিদরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য—মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা এবং মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
সিলেট রানার্স কমিউনিটির অ্যাডমিন ডা. ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত রাখা, সিলেটের ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং দৌড়বিদদের পেশাদার প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম। তিনি ২১.১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন এবং ১০ কিলোমিটার রান দুই ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট রানার্স কমিউনিটির এডমিন, সৈয়দ ফজলুর রহিম সোহাগ, মো. হাসান আহমেদ, মো. সালেহ আহমদ, ফয়েজ আহমদ ও সাইফুল আহমেদ।
বিজয়ীরা হলেন :
১০ কিলোমিটার পুরুষ বিভাগে দ্বীপ তালুকদার, আশরাফুল আলম, মুহিবুর রহমান রাহী,তামিম উদ্দিন,রহিম উদ্দিন।
১০ কিলোমিটার নারী বিভাগে মাহবুবা মারিয়া, তাসনিয়া আখতার, সানজানা তাবাসসুম।
২১ কিলোমিটার পুরুষ বিভাগে নাঈম মামুন আহমেদ, গোলাম রাহাত ফায়েল, মো. তোফায়েল হুসাইন রনি,
২১ কিলোমিটার নারী বিভাগে তাবাসসুম ফেরদৌস
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও সিলেটে নিয়মিতভাবে এমন স্বাস্থ্যবান্ধব ও সচেতনতামূলক ক্রীড়া আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।
বৈরাগীবাজার নিউজ ডেস্ক
আইটি ল্যাব সলিউশন্স লি.