আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শেষ মুহূর্তে আশাভঙ্গ, খেলার শেষ সময়ে নেপার গোলে সমতা

শেষ মুহূর্তে আশাভঙ্গ, খেলার শেষ সময়ে নেপার গোলে সমতা

ম্যাচটা জিতে গেছে বাংলাদেশ, এমনটা ধরেই নিয়েছিল সমর্থকরা। কিন্তু যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে এসে কর্নার থেকে গোল হজম করে সহজ জয় হাতছাড়া করল জামার-হামজারা।

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সফরকারী নেপাল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে হামজার জোড়া গোলে বাংলাদেশ ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে। কিন্তু যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ গোল হজম করায় ২-২ গোলে শেষ হলো ম্যাচটি।

 

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সোহেল রানার পরিবর্তে সামিত সোমকে মাঠে নামান। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই বাম প্রান্ত থেকে ফাহিমের ক্রস নেপালের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। বলটি অধিনায়ক জামালের পায়ে গিয়ে পড়ে, তিনি চিপ করে বলটি হামজার দিকে পাঠান। হামজা দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে বলটি জালে জড়ান, যা দেখে পুরো জাতীয় স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। বাংলাদেশের খেলায় এমন গোল সচরাচর দেখা যায় না, তাই কোচিং স্টাফ ও সতীর্থরা বিশেষভাবে উদযাপন করেন এই মুহূর্তটি।

গোল সমতায় ফেরার মাত্র তিন মিনিট পরই আবার লিড নেয় বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড রাকিবকে বক্সের ভেতর ফাউল করেন নেপালের সুমন শ্রেষ্ঠা। বল বক্স থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাকিব বলের পেছনে দৌড় দিচ্ছিলেন। সেই সময় সুমনের বাধায় পড়ে যান রাকিব, এবং রেফারি কাওসুন লাকমাল সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। নেপালী খেলোয়াড়দের আপত্তি সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকে। স্পটকিক থেকে হামজাই গোল করে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।

তবে শেষ হাসি হাসা হলো না বাংলাদেশের। জেতা ম্যাচ ড্রয়ের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ল হামজা-জামালরা।

 

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)