আজ বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

বড়লেখায় পাহাড়ি জনপদে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি, পুলিশের অভিযান

বড়লেখায় পাহাড়ি জনপদে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি, পুলিশের অভিযান

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেম নগরের একটি বাংলোবাড়ি নিয়ে নানা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলোবাড়ি এখন থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে আনোয়ার নামে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একজনকে সরকারি খাসজমিতে কোটি টাকার বাংলোবাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী ২৬ বছর বয়সী যুবক হাসান আহমদকে। আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। ওই বাংলোবাড়িতে সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা ও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড এবং আড্ডা বসার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় যুবসমাজ।

বুধবার সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) ও পুলিশ সদস্যরা রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি পরিদর্শন ও অভিযোগ তদন্ত গেলে স্থানীয় লোকজন অপরিচিত মানুষের আনাগোনা ও অপরাধ কর্মকাণ্ড এবং অসামাজিকতা বন্ধের দাবিতে ওই বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাসজমিতে বাংলোবাড়ি তৈরি, টিলা ও গাছপালা কর্তনের কোনো অনুমতি ও ভূমির লিজ নেওয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ। এ বাড়িটি ও আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। হাসান আহমদের কথিত বন্ধু আনোয়ারকে পাওয়া যায়নি।

বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস জানান, এই রহস্যজনক বাড়ি ও আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ এবং তার কথিত বন্ধু আনোয়ারকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থায় নানা তথ্য রয়েছে। এসব তদন্তে বুধবার সন্ধ্যায় থানার অফিসার ইনচার্জ, পরিদর্শক (তদন্ত) এবং তিনিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ওই বাংলোবাড়িতে যান।

এ ব্যাপারে আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ জানান, আনোয়ারকে বিশ্বাস করে তিনি বাড়ির জমি ক্রয় ও বাংলোবাড়ি নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা দিয়েছিলেন; কিন্তু জুলাই মাসে দেশে ফিরে টাকার সঙ্গে নির্মাণকাজের কোনো মিল পাননি। এ নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে তিনি আমার ১৩ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। এরপর থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, সম্প্রতি ওই বাড়ির মালিক আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ থানায় একটি চুরির অভিযোগ করেন। আমেরিকা প্রবাসী নাগরিকের বাড়িতে চুরির ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নানা অসঙ্গতি পায়। প্রাথমিক তদন্তে চুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে হাসান আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তায় অনেক অমিল পাওয়া গেছে। এরপর থেকে গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রয়েছে বাড়িটি।

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)