আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিরোনাম
আজ থেকে সিলেটে রাত সাড়ে ৯ টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: কঠিন গ্রুপে কোন দল, কারা পেল সহজ প্রতিপক্ষ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা চলছে: শফিকুর রহমান ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও ৬ আইফোন জব্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র জমিয়তের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশনেত্রীর দিকে চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন : অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিশেষ দোয়া সিলেটে হাজারও দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন এক রাসূলপ্রেমিকের কালজয়ী প্রেমগাথা: কাসিদায়ে বুরদা সহকারি শিক্ষকদের শাটডাউন: বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকরা

৫০ ওভার খেলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ২০৭ রানে অলআউট

৫০ ওভার খেলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ২০৭ রানে অলআউট

মিরপুরে ২০৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ অলআউট নিশ্চিত হওয়ার পর ফিরছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার, ছবি: সংগৃহীত


একটা কাল্পনিক রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের আশা পূরণ হবে তো? বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবে তো? তবে বাংলাদেশ শেষমেশ সেটা করা হয়নি। বাংলাদেশ ৫০ ওভার টিকতে পারেনি। অলআউট হলো ২ বল বাকি থাকতেই। অলআউট হওয়ার আগে দল তুলেছে ২০৭ রান।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ বলেছিলেন, ‘আমাদের ৫০ ওভার খেলতে হবে, শেষ তিনটি ম্যাচ আমরা তা করতে পারিনি।’

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে মনে হয়েছে, জয় পরাজয় একপাশে থাকুক, আপাতত দলের চাওয়া যেন কোনোরকমে ৫০ ওভার ব্যাট করা যায়। নাহয় ৩০তম ওভারে ১০০ না ছোঁয়া, ৬ উইকেট হাতে রেখেও ৪০ ওভার শেষে ১৪০ রানের ব্যাখ্যাটা কী দাঁড় করাবেন আপনি?

দলের ওপেনিংয়ে চলতি বছর একটা ফিফটিও আসেনি। সে কারণে ইনিংসের গোড়াপত্তনে আজ আনা হয় সৌম্য সরকারকে, তানজিদ তামিম বাদ পড়েন। তবে আজ পরিণতিটা হলো আজও বাজে। ফর্মে থাকা সাইফ হাসান ফিরলেন প্রথমে, এরপর সৌম্যও যখন বিদায় নিচ্ছেন, দলের রান তখন দুই অঙ্কেও পৌঁছায়নি। 

 

দলের মন্থর ব্যাটিংয়ের শুরু এরপর থেকে। নাজমুল হোসেন শান্ত তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়া শুরু করলেন, ১২০ বলে দুজন ৭১ রান যোগ করলেন তৃতীয় উইকেটে। তবে তাতে একটা কীর্তি অবশ্য গড়া হয়ে যায়, ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো তৃতীয় উইকেট থেকে আসে অন্তত ৫০ রান।

 

শান্ত ৫০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে ৩২ রান করেন। ওপাশে তাওহীদ হৃদয় ফিফটি করেছেন, ৯১ বলে ৫১ করে বিদায় নিয়েছেন। অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কনও ছিলেন ভীষণ মন্থর। ৭৬ বলে করেছেন ৪৬ রান। উদ্দেশ্য একটাই, যেন উইকেট না চলে যায়, ইনিংস যেন ধসে না পড়ে। মিরাজের ইনিংসটা ছিল ২৭ বলে ১৭ রানের। যার সম্মিলিত যোগফল ৪০ ওভারে ১৪০ রান। তখন মনে হচ্ছিল ৫০ ওভারে বুঝি ২০০ ও হবে না!

শেষমেশ তা পেরিয়েছে মূলত লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটে চড়ে। রিশাদ হোসেন ২৬ রানের ইনিংস খেলেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। একটা ছক্কাসহ তানভীর ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। নুরুল হাসান সোহান ৯ রান করেছেন ১০ বলে। যার ফলে শেষ ৯.৪ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৭ রান। তবে তার খেসারতটাও দিতে হয়েছে ৬ উইকেট খুইয়ে। 

উইকেট ধরে রাখতে গেলে রান আসছে না, রান তুলতে গেলে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ছে ইনিংস। বিষয়টা যেন আজ আরেকবার জানান দিল, ওয়ানডের ব্যাটিংটাই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। 

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)