আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিরোনাম
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা জৈন্তাপুরে গেইটলক বাসে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় মদসহ আটক ১ আজ থেকে সিলেটে রাত সাড়ে ৯ টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: কঠিন গ্রুপে কোন দল, কারা পেল সহজ প্রতিপক্ষ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা চলছে: শফিকুর রহমান ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও ৬ আইফোন জব্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র জমিয়তের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশনেত্রীর দিকে চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন : অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিশেষ দোয়া সিলেটে হাজারও দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে নতুন ইতিহাসের অপেক্ষায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা

নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে নতুন ইতিহাসের অপেক্ষায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল এবারই তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। আগে ২০০৫ এবং ২০১৭ সালে ফাইনালে খেললেও শিরোপা জেতে পারেনি। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এবং ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা।

বৈরাগীবাজারনিউজ

 

অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তারা শিরোপার অন্যতম প্রার্থী। ঘরের মাঠে ভারতীয় দল এবং দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা, কে জিতবে বিশ্বকাপ—যে কোনো দলই জয় করলে ইতিহাস তৈরি করবে।

 

ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর এবং স্মৃতি মন্ধান নেতৃত্বাধীন দলকে এই ফাইনালে বড় দায়িত্বে দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের পর ২০২৫ সালে আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছানো ভারতীয়দের জন্য এটি স্বপ্ন পূরণের সুযোগ। এর আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারত। এবার নারী ক্রিকেটে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন রূপ নিয়েছে।

ফাইনালের আগে ভারতের কৃতিত্বের অন্যতম কারণ হল সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়। চোটের কারণে কিছু খেলোয়াড় ছিটকে গেলেও অধিনায়ক হারমানপ্রিত এবং জেমাইমা রদ্রিগেজ ঠিক সময়ে দলের জন্য রান যোগ করেছেন। দলের ব্যর্থতা বা নতুন খেলোয়াড়ের অবদান না থাকার বিষয়গুলোও ফাইনালে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান সমস্যার মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। নির্ভরশীলতা মূলত চার-পাঁচ জন ক্রিকেটারের ওপর। অধিনায়ক লরা উলভারডট, ব্যাটার তাজমিন ব্রিটস, অলরাউন্ডার মারিয়ানা কাপ, নাদিনে ডি ক্লার্ক এবং স্পিনার ননকুলুলেকো এমলাবা তাদের সফলতার মূল স্তম্ভ। তবে ভারতের মাটিতে তাদের ফর্ম কিছুটা অনিশ্চিত।

 

লিগ পর্বের ম্যাচে ভারতের রিচা ঘোষ ছাড়া অন্য ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। তবে ফাইনালে আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতও প্রস্তুত। ২০২৪ সাল থেকে দুই দলের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই জিতেছে ভারত। নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটে মুখোমুখি ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ২০ জয় ভারতের, ১৩ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার এবং একটি ড্র।

ফাইনালে কে জিতবে—ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা—এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে দু’দলেরই ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের জন্য অপেক্ষা করছেন।

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)