আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিরোনাম
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: কঠিন গ্রুপে কোন দল, কারা পেল সহজ প্রতিপক্ষ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা চলছে: শফিকুর রহমান ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও ৬ আইফোন জব্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র জমিয়তের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশনেত্রীর দিকে চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন : অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিশেষ দোয়া সিলেটে হাজারও দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন এক রাসূলপ্রেমিকের কালজয়ী প্রেমগাথা: কাসিদায়ে বুরদা সহকারি শিক্ষকদের শাটডাউন: বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকরা সিলেট বিভাগের আরও ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

পাসপোর্ট নিয়ে মুন্সীগঞ্জের বিড়াল গেল ইতালিতে!

পাসপোর্ট নিয়ে মুন্সীগঞ্জের বিড়াল গেল ইতালিতে!

মুন্সীগঞ্জ থেকে পার্সপোর্ট নিয়ে ইতালিতে গিয়েছে পোষা বিড়াল ‘ক্যান্ডি’। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৩টায় কাতার এয়ারলাইন্সে বিড়ালটি উড়াল দিয়েছে ইতালির উদ্দেশ্যে।

 

চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যের মতো লালন করা ‘ক্যান্ডি’ নামের বিড়ালটিকে সঙ্গে নিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। বিশেষ খাঁচা, বিমানের টিকিট, সরকারি অনুমতি, পাসপোর্ট, এমনকি ট্রানজিট বিমানবন্দরের অনুমতিও নিতে হয়েছে আলাদা করে। ডমেস্টিক মিক্সড জাতের ক্যান্ডির ওজন প্রায় ৬ কেজি। নিয়ম অনুযায়ী বিমানে হাতব্যাগের মতোই একটি ছোট্ট বক্সে করে বিড়ালটিকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুরের রিক্তা বেগম ২০২১ সাল থেকে ক্যান্ডিকে লালন-পালন করছেন। অনলাইনে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা এই বিড়াল ছানাটি তার পরিবারের একজন সদস্যের মতো।

 

 

জানা গেছে, আব্দুল হাই রিক্তা দম্পত্তির ছেলে শিথিল যখন স্কুলে পড়তো তখন বিড়ালটি কেনা হয়েছিল। শিথিল এখন এইচএসসি পাস করেছেন। রিক্তার স্বামী আব্দুল হাইয়ের কর্মস্থল ইতালির রোমে। সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন পরিবারের সবাই। তাই প্রিয় ক্যান্ডিকে ফেলে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি তাদের।

 

রিক্তা বেগম ইতালি যাওয়ার পূবে বলেন, আমরা যেভাবে ক্যান্ডিকে লালন করেছি, ও এখন আমাদের পরিবারের মতোই। আমরা বাইরে গেলে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই ওকে ছাড়া যাওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব।

 

দেশ ছাড়ার আগে রিক্তার ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিলও বেশ আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ক্যান্ডি আমাদের পরিবারের আনন্দের উৎস। ও ছাড়া ঘরটা ফাঁকা মনে হয়। তাই ওকে সঙ্গেই নিচ্ছি।

রিক্তার স্বামী আব্দুল হাই কয়েক মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসে ক্যান্ডির মায়ায় মুগ্ধ হন। পরিবারের আবেগের কথা ভেবে তিনিও বিড়ালটিকে সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেন।

সব নিয়ম মেনে প্রাণীটিকে বিমানে বহনের জন্য বিশেষ খাঁচায় নেওয়া হয়েছে। বিমানভাড়া ৩৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সঙ্গে পোষা প্রাণীর পাসপোর্ট, সরকারি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ এবং ট্রানজিট বিমানবন্দরের ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।

মুন্সীগঞ্জ টিটলার্ক পেটওয়েল সেন্টারের ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট অ্যান্ড সার্জন ডা. শিবেন চন্দ্র লিটন বলেন, বিদেশে প্রাণী নেওয়ার প্রক্রিয়ায় টিকা, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট, মাইক্রোচিপ স্থাপন সব কিছু আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হয়। ক্যান্ডির দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে একটি মাইক্রোচিপ বসানো হয়েছে, যাতে স্ক্যান করলেই তার ইউনিক নম্বর দেখা যায়।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, আমি বিষয়টি জানি বিড়ালটি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আগে ওই পরিবার আমাকে অবহিত করে গেছে। তবে আমাদের অবহিত করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)