ছবি: সংগৃহীত
শ্রীমঙ্গলে ছোটবেলা থেকেই ছুটির সময় পার করতেন শমিত সোম। তখন পরিচয় ছিল ভিন্ন, ব্যস্ততা ছিল কম। কিন্তু জাতীয় দলের মিডফিল্ডার হয়ে ফেরার পর শ্রীমঙ্গলে আসা ভিন্নরকম অনুভূতি নিয়ে ফিরে যান শমিত। ভারতকে হারানোর পরদিন নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর সময়ও সেই অনুভূতি চোখে পড়ে।
কানাডায় জন্ম নেওয়া ও বড় হওয়া শমিত কানাডার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দীর্ঘদিন ক্লাব ক্যাভলারি এফসিতে খেলেছেন। তবে বাবা-মায়ের সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সহজে পেয়ে চলতি বছর লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় শমিতের। এখন শমিতকে বাংলাদেশের ফুটবল পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে হারানোর ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। পরদিন কাজিনের সঙ্গে প্লেনে করে সিলেটে আসেন এবং সেখান থেকে গাড়িতে নিজ বাড়িতে পৌঁছান।
শমিত আসার খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম, স্বজন ও বন্ধুদের ভিড় বাড়ে। নিজের বাড়িতেই তিনি সবাইকে স্বাগত জানান। শমিত বলেন, শ্রীমঙ্গলে এসে অনেক ভালো লাগছে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তিনবার বাংলাদেশে এসেছি, তবে আগে এখানে সময় কাটাতে পারিনি। এবার নিজ এলাকায় আসতে পেরে আনন্দিত।
যদিও বাংলাদেশ এবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে পেরুতে পারেনি, তবে হামজা চৌধুরী, শমিতদের আগমনে ফুটবলে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। শমিত বলেন, আমরা ধাপে ধাপে প্রতি ম্যাচে উন্নতি করছি। পারফরম্যান্স ভালো হলেও রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আসছিল না। শেষমেশ গতকাল আমরা জিতেছি এবং কোনো গোল হজম করিনি। আগামী বছরের দিকে তাকিয়ে এগুলো ইতিবাচক দিক।
তিনি আরও বলেন, সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আসছে, সেখানে ভালো করতে চাই। এরপর আবার এশিয়ান কাপ, বিশ্বকাপ, আমরা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল হয়ে উঠি। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ আমি ভালো মনে করি। সাফল্য আসবে।
বৈরাগীবাজার নিউজ ডেস্ক
আইটি ল্যাব সলিউশন্স লি.