আজ রবিবার | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 শিরোনাম
আজ থেকে সিলেটে রাত সাড়ে ৯ টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: কঠিন গ্রুপে কোন দল, কারা পেল সহজ প্রতিপক্ষ নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তারা চলছে: শফিকুর রহমান ওসমানী বিমানবন্দরে বিদেশী সিগারেট ও ৬ আইফোন জব্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র জমিয়তের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশনেত্রীর দিকে চেয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন : অ্যাড. এমরান আহমদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিশেষ দোয়া সিলেটে হাজারও দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন এক রাসূলপ্রেমিকের কালজয়ী প্রেমগাথা: কাসিদায়ে বুরদা সহকারি শিক্ষকদের শাটডাউন: বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকরা

‘আমি নিজেকে ভালোবাসি’

‘আমি নিজেকে ভালোবাসি’

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সবসময় সাহস ও স্পষ্টভাষায় সমাজের যে কোন প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে কথা বলেন। প্রতিকূলতা ও রক্ষণশীলতার প্রাচীর ভেঙে নিজের জায়গাও বেশ শক্তভাবে তৈরি করেছেন তিনি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন তার আত্মপ্রত্যয়ের এক গভীর বার্তা। 

রোববার (৫ অক্টোবর) ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ শিরোনামে একটি পোস্ট করেছেন বাঁধন।

সেখানে তিনি প্রকাশ করেন, জীবনের গভীরতম উপলব্ধি ও সমাজ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনুভূতির কথা। জানান, নিজের ব্যর্থতার গল্প, তবে সেই ব্যর্থতাতেই খুঁজে পেয়েছেন নিজস্ব সাফল্যের সংজ্ঞা। 


বাঁধনের পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘সমাজ ও এক অস্বস্তিকর নারী আমি চেয়েছিলাম সেই রকম মেয়ে হতে যাকে সবাই পরিচালিত করবে। যে বাধ্য হবে, খুশি করবে, চুপচাপ মানিয়ে নেবে কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমি ব্যর্থ হয়েছি সেই মানুষটা হতে যা সবাই আমার কাছে চেয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম। সত্যিই করেছিলাম। আমি চেষ্টা করেছিলাম আমার পরিবার যেমন মেয়ে চেয়েছিল, সমাজ যেমন নারী আশা করেছিল, ঠিক তেমন হতে।

 

কিন্তু আমি ব্যর্থ — আর সেইজন্য আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ আমার জন্ম হয়নি অন্য কারো চিত্রনাট্য অনুযায়ী বাঁচার জন্য। আমার কথাগুলো মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে। আমার কাজ তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের সীমানায় মানায় না। আমি জানি, আমার সাথে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয় কিন্তু আমি নিষ্ঠুর নই। 

আমি মানুষকে আঘাত করি না বা অসম্মান করি না, এমনকি যখন তারা আমার সাথে সেটা করে তখনও না। এখন ৪০ পেরোনোর পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেছি। আমি আমার জীবন আমার শর্তে বাঁচি — স্বাধীনভাবে, সততার সঙ্গে, ক্ষমাহীনভাবে।

যদি এটা কাউকে আঘাত দেয়, তারা আমাকে উপেক্ষা করতে পারে, ব্লক করতে পারে, ঘৃণা করতে পারে। সত্যি বলছি, আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমি যাদের অস্বস্তিতে ফেলি, তাদের বিপরীতে আরো অনেকে আছে যারা আমাকে ভালোবাসে যারা আমাকে বোঝে, যারা আমার সত্যের মধ্যে শক্তি খুঁজে পায়।

আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি নিজেকে ভালোবাসি। আমি ভেঙে যাইনি। আমি কেবল সেই পৃথিবীর জন্য অস্বস্তিকর যে পৃথিবী আসল নারীদের ভয় পায়। আমি তোমাকে ভালোবাসি, আজমেরী হক বাঁধন সেই নারী যাকে তুমি অবশেষে হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছ।’

পূর্ববর্তী খবর পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

পরবর্তী খবর পড়ুন

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৩ মার্চ ১৯৭৬)